শেয়ারবাজারের
উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা আনয়নে সম্মিলিত জাতীয় ঐক্যের আহবান জানিয়েছে
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টরস্ ফোরামের নেতৃবৃন্দ।
তারা জানান, বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে শেয়ারবাজার অনেক
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু গত ২ বছর ধরে বাজারে যে নেতিবাচক
পরিস্থিতি বিরাজ করছে তাতে দেশের সার্বিক অর্থনীতি মারাত্মক হুমকির মুখে
পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় বাজারের বর্তমান ক্রান্তিকাল থেকে উত্তোরণে
সরকার, সুশীল সমাজ, বাজার বিশেষজ্ঞ, এফবিসিসিআই, গণমাধ্যম, নিয়ন্ত্রক
সংস্থাসহ ক্ষতিগ্রস্ত সাধারণ বিনিয়োগকারীদের এক ও অভিন্ন লক্ষ্যে
সম্মিলিতভাবে সার্বিক সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করার আহবান জানান তারা।
সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ জানান, দেশের বিনিয়োগ বৃদ্ধির বড় খাত হলো শেয়ারবাজার। এ বাজারে প্রায় ৩৩ লাখ বিনিয়োগকারী জড়িত রয়েছে। একইসঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ২ কোটি মানুষ সম্পৃক্ত ও তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে। কিন্তু একটি সংঘবদ্ধ ও কুচক্রীমহল বাজারকে ক্ষতিগ্রস্ত, ধ্বংস ও অস্থিতিশীল করে তুলতে কারসাজি করে যাচ্ছে। এসব কারসাজি চক্র সম্পর্কে বাজার সংশ্লিষ্ট সকলকে ঐক্যবদ্ধ ও সর্তক থেকে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ আরো জানান, দেশের সার্বিক অর্থনীতি শেয়ারবাজারের অস্থিতিশীলতার কারণে মারাতœক হুমকির মুখে পড়েছে। কর্মসংস্থান, শিল্পায়ন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, দেশী বিদেশী বিনিয়োগ সব কিছুই আজ বন্ধের উপক্রম হয়েছে। এ অস্থিতিশীল অবস্থা দেশের জন্য বিপদ সংকেত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কারণ, গত ২০১০ সালের ৬ ডিসেম্বর শেয়ারবাজারে দৈনিক লেনদেন ছিল ৩ হাজার কোটি টাকা, এরপরে মহাধ্বসের কবলে পড়ে ২ বছরের ব্যবধানে তা নেমে এসেছে ২০০ কোটি টাকার নীচে। দেশের অর্থনীতিতে শেয়ারবাজারের অবদান ছিল ২০ শতাংশ। বর্তমানে তা কমে ১০ শতাংশের নীচে নেমে এসেছে। এ ধরনের পরিস্থিতির উন্নতি না হলে লাখ লাখ যুবক বেকার হয়ে পড়বে এবং শিল্পে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হবে।
নেতৃবৃন্দ আরো জানান, দেশে কর্মসংস্থান, বিনিয়োগের পর্যাপ্ত বিকল্প পথ না থাকায় লাখ লাখ যুবক শেয়ারবাজারকে তাদের আয়ের উৎস হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। যে কারনে তারাও তাদের শেষ সম্বল এ বাজারে বিনিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু ভয়াবহ ধসের যাতাকলে আজ তারা সব কিছু হারিয়ে নিঃস্ব ও সর্বশান্ত হয়ে পথে বসার উপক্রম। এমনকি এ বাজারে অর্থনীতির স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে বিনিয়োগ করে অব্যাহত দরপতনের ধাক্কা সামলাতে না পেরে রনি জামান, ফয়সাল আহমেদ ও যুবরাজসহ অনেক বিনিয়োগকারী আত্মহননের পথ বেছে নেন। দেশের বিভিন্ন জায়গায় কোনো কোনো বিনিয়োগকারী হার্ট এ্যাটাকে মারা যান এবং কেউ কেউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ অবস্থায় দেশের শেয়ারবাজারের পরিস্থিতি আশু উন্নতি না হলে সার্বিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব নেমে আসার শঙ্কা রয়েছে।
এদিকে বাজার সংশ্লিষ্ট রেগুলেটেড প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সময়ে যেসব নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে কোনো ইতিবাচক প্রভাব এখনও ফুটে ওঠেনি।
তবে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বেশ কিছু দাবির কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শেয়ারাবাজারের বর্তমান পরিস্থিতিতে স্থিতিশীলকরণ ফান্ড গঠন অত্যন্ত জরুরি, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নিস্ক্রিয় অবস্থান থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে, আলোচিত বাংলাদেশ ফান্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকারের আন্তরিক সহযোগিতা এখনই প্রয়োজন রয়েছে, শেয়ারবাজারে ব্যাংকিং খাতের বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে অর্থমন্ত্রনালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের যৌথ সিদ্ধান্তের মোট আমানতের কমপক্ষে ১০ শতাংশ অথবা সংবিধিবদ্ধ সঞ্চিতির ২৫ শতাংশ অথবা ৪০ শতাংশ পরিষ্কার ঘোষণা করতে হবে, মন্দাবাজারে অতিরিক্ত প্রিমিয়ামসহ অতিরিক্ত আইপিও অনুমোদন থেকে বিরত থাকতে হবে, বিনিয়োগবান্ধব মুদ্রানীতি ঘোষণাসহ আপাতত ব্লক মার্কেটে উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার বিক্রি থেকে বিরত রাখতে হবে।
এ বিষয়ে সংগঠনটির সমন্বয়ক ও সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন শেয়ারনিউজ২৪ ডটকমকে বলেন, দীর্ঘ ২ বছর ধরে বাজারে অব্যাহত দরপতনের কারণে অস্থিরতা লেগে আছে। এ অবস্থা থেকে উত্তোরণে আমরা বাজারের সকল বিনিয়োগকারী সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ঠ সবার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্থিতিশীল বাজার সৃষ্টিতে কাজ করতে সহযোগিতা চাই।
সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ জানান, দেশের বিনিয়োগ বৃদ্ধির বড় খাত হলো শেয়ারবাজার। এ বাজারে প্রায় ৩৩ লাখ বিনিয়োগকারী জড়িত রয়েছে। একইসঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ২ কোটি মানুষ সম্পৃক্ত ও তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে। কিন্তু একটি সংঘবদ্ধ ও কুচক্রীমহল বাজারকে ক্ষতিগ্রস্ত, ধ্বংস ও অস্থিতিশীল করে তুলতে কারসাজি করে যাচ্ছে। এসব কারসাজি চক্র সম্পর্কে বাজার সংশ্লিষ্ট সকলকে ঐক্যবদ্ধ ও সর্তক থেকে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ আরো জানান, দেশের সার্বিক অর্থনীতি শেয়ারবাজারের অস্থিতিশীলতার কারণে মারাতœক হুমকির মুখে পড়েছে। কর্মসংস্থান, শিল্পায়ন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, দেশী বিদেশী বিনিয়োগ সব কিছুই আজ বন্ধের উপক্রম হয়েছে। এ অস্থিতিশীল অবস্থা দেশের জন্য বিপদ সংকেত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কারণ, গত ২০১০ সালের ৬ ডিসেম্বর শেয়ারবাজারে দৈনিক লেনদেন ছিল ৩ হাজার কোটি টাকা, এরপরে মহাধ্বসের কবলে পড়ে ২ বছরের ব্যবধানে তা নেমে এসেছে ২০০ কোটি টাকার নীচে। দেশের অর্থনীতিতে শেয়ারবাজারের অবদান ছিল ২০ শতাংশ। বর্তমানে তা কমে ১০ শতাংশের নীচে নেমে এসেছে। এ ধরনের পরিস্থিতির উন্নতি না হলে লাখ লাখ যুবক বেকার হয়ে পড়বে এবং শিল্পে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হবে।
নেতৃবৃন্দ আরো জানান, দেশে কর্মসংস্থান, বিনিয়োগের পর্যাপ্ত বিকল্প পথ না থাকায় লাখ লাখ যুবক শেয়ারবাজারকে তাদের আয়ের উৎস হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। যে কারনে তারাও তাদের শেষ সম্বল এ বাজারে বিনিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু ভয়াবহ ধসের যাতাকলে আজ তারা সব কিছু হারিয়ে নিঃস্ব ও সর্বশান্ত হয়ে পথে বসার উপক্রম। এমনকি এ বাজারে অর্থনীতির স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে বিনিয়োগ করে অব্যাহত দরপতনের ধাক্কা সামলাতে না পেরে রনি জামান, ফয়সাল আহমেদ ও যুবরাজসহ অনেক বিনিয়োগকারী আত্মহননের পথ বেছে নেন। দেশের বিভিন্ন জায়গায় কোনো কোনো বিনিয়োগকারী হার্ট এ্যাটাকে মারা যান এবং কেউ কেউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ অবস্থায় দেশের শেয়ারবাজারের পরিস্থিতি আশু উন্নতি না হলে সার্বিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব নেমে আসার শঙ্কা রয়েছে।
এদিকে বাজার সংশ্লিষ্ট রেগুলেটেড প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সময়ে যেসব নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাতে কোনো ইতিবাচক প্রভাব এখনও ফুটে ওঠেনি।
তবে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বেশ কিছু দাবির কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শেয়ারাবাজারের বর্তমান পরিস্থিতিতে স্থিতিশীলকরণ ফান্ড গঠন অত্যন্ত জরুরি, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নিস্ক্রিয় অবস্থান থেকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে, আলোচিত বাংলাদেশ ফান্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকারের আন্তরিক সহযোগিতা এখনই প্রয়োজন রয়েছে, শেয়ারবাজারে ব্যাংকিং খাতের বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে অর্থমন্ত্রনালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের যৌথ সিদ্ধান্তের মোট আমানতের কমপক্ষে ১০ শতাংশ অথবা সংবিধিবদ্ধ সঞ্চিতির ২৫ শতাংশ অথবা ৪০ শতাংশ পরিষ্কার ঘোষণা করতে হবে, মন্দাবাজারে অতিরিক্ত প্রিমিয়ামসহ অতিরিক্ত আইপিও অনুমোদন থেকে বিরত থাকতে হবে, বিনিয়োগবান্ধব মুদ্রানীতি ঘোষণাসহ আপাতত ব্লক মার্কেটে উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার বিক্রি থেকে বিরত রাখতে হবে।
এ বিষয়ে সংগঠনটির সমন্বয়ক ও সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন শেয়ারনিউজ২৪ ডটকমকে বলেন, দীর্ঘ ২ বছর ধরে বাজারে অব্যাহত দরপতনের কারণে অস্থিরতা লেগে আছে। এ অবস্থা থেকে উত্তোরণে আমরা বাজারের সকল বিনিয়োগকারী সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ঠ সবার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্থিতিশীল বাজার সৃষ্টিতে কাজ করতে সহযোগিতা চাই।
No comments:
Post a Comment
!!! Thank You !!!